দেশের সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট দেখা দেয়ায় তা নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে শিগগিরই শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার কথা ভাবছে সরকার । এ জন্য ৪১তম বিসিএসকে বিশেষ / স্পেশাল বিসিএস হিসেবে ধরা হচ্ছে। যেটা হবে শিক্ষক নিয়োগের জন্য। ইতোমধ্যে শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে সরকারি কর্মকমিশনে (পিএসসি) চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। আর চলমান ৩৯ তম স্পেশাল বিসিএস শুধু ডাক্তারদের জন্য।
জানা গেছে, সারাদেশে সরকারি কলেজগুলোতে প্রায় দুই হাজারের মতো পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু, পদত্যাগসহ নানা কারণে পদগুলো খালি পড়ে আছে। ফলে নানাভাবে ব্যাহত হচ্ছে সামগ্রিক শিক্ষা কার্যক্রম। বিঘ্নত হচ্ছে পাঠদান। এছাড়া নিয়মানুযায়ী সাধারণ বিসিএসের মাধ্যমে যে পরিমাণ শিক্ষক নেয়া হচ্ছে তা দিয়ে আরও কয়েক বছরেও শিক্ষক সংকট নিরসন সম্ভব নয়। এসব কথা চিন্তা করেই শিক্ষক নিয়োগে বিসিএস আয়োজনের কথা ভাবছে সরকার। যেমনটি করা হয়েছে স্বাস্থ্য ক্যাডারে চিকিৎসক নিয়োগের ক্ষেত্রে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই ৪১ তম বিশেষ / স্পেশাল বিসিএস আয়োজন করার ক্ষেত্রে পিএসসির চলমান আইনে কিছুটা পরিবর্তন আনতে হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মে – জুন, ২০১৯ এর মধ্যে ৪১ তম বিসিএস এর সার্কুলার / বিজ্ঞপ্তি হবে বলে পিএসসি আশা প্রকাশ করেছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) প্রফেসর মোহাম্মদ শামছুল হুদা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দেশের অনেক সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক সঙ্কট নিরসন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার আয়োজন করে শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ দিতে পিএসসিকে চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এখনও অনেক কলেজে রয়েছে, যেখানে বিষয়ভিত্তিকে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া সম্ভব না। পার্শ্ববর্তী কলেজের শিক্ষক ধার করে এনেই ক্লাস নিতে হচ্ছে। তাই শিক্ষকদের জন্য একটি বিশেষ বিসিএস আয়োজন করা হলে এসব সমস্যা লাঘব সম্ভব হবে।
পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, সরকারি কলেজ উচ্চশিক্ষার প্রাণকেন্দ্র হলেও সেখানে শিক্ষক সংকট রয়েছে। বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমেই এ সংকট নিরসন করা সম্ভব হবে। তবে তিনি জানান, শিক্ষা ক্যাডারের জন্য বিশেষ বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের অফিসিয়াল আবেদন এখনও আমাদের হাতে এসে পৌঁছেনি।