সোহরাওয়ার্দীতে বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার অনুপস্থিতিতে তাঁর সম্মানে ফাঁকা চেয়ার রেখে নেতাকর্মীদের মোবাইল ফোনে সেলফি তোলার কঠোর সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘ফাঁকা চেয়ার রেখে স্টেজে সেলফি- এই হলো বিএনপি। এইসব নেতিবাচক রাজনীতির কারণেই জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ায় দলটি দিন দিন সংকুচিত হয়ে পড়ছে।’
রবিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘তাদের সমাবেশে উপস্থিতি হতাশাজনক। সমাবেশের আগে তাদের হাক-ডাক আষাঢ়ের তর্জন-গর্জন ছাড়া আর কিছুই না।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের ৭ দফার বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কবিগুরুর ‘বধূ’ কবিতার একটি পঙক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘পুরানো সেই সুরে কে যেন ডাকে দূরে’। এসময় একটি ছবি দেখিয়ে তিনি বলেন, এই হলো তাদের জাতীয় ঐক্য। বিএনপির সমাবেশে হাতাহাতি, মারামারি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াই প্রমাণ করে তাদের ঐক্য কেমন হবে। নিজেরাই এলোমেলো দল। এ দলে কেউ কাউকে মানে না।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘নির্বাচনের আগে সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। দুনিয়ার অন্যান দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবেই আমাদের দেশেও হবে। শেখ হাসিনার সরকার নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন কর্তৃত্ব পালনে সহযোগিতা করবেন।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যদি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক আন্দোলন করে তাহলে আমরা তাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবো। আর ১৪-১৫ সালের মত আগুন সন্ত্রাস করলে প্রশাসন তার মত সমুচিত জবাব দেবে। আমরাও ঘরে বসে ডুগডুগি বাজাবো না।’
সভা উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।