আমি রূপকথার অপ্সরী নই,
ছোট গায়ের অন্ধকার রাতের একরাশ জোনাকি।
যার নিবু নিবু আলো নিয়ে স্বপ্নের জাল বুনি।
আমি সেই সুদর্শন, যে মঙ্গল বার্তা নিয়ে অপরাহ্নের বায়ুতে উড়ি।
আমি সেই রুসলপুরের স্বপ্নকণ্যা আসমানী।
যে দিন- রাতের সন্ধিক্ষনে ওআশার কল্পনা আঁকি।
আমি সুবর্ণপুরের সেই সুষমা,
যে সুপুকুরের জলে সুহাঁসের সাথে মিতালী করি।
আমি সেই সমুদ্রতীরের বালির বাড়ি,
যার অস্তিত্ব তাসের ঘরের খঁটি।
আমি সেই সতী হারা শিব অনুরাগী,
যে বিরহের করুনাঘাতে,নৃত্য প্রলয় মাঝে ধ্বংস করি।
আমি সেই তৃষ্ণার্থ চাতক,
যে নিঝুম বৃষ্টির আশায় মেঘে ভাসি।
আমি সেই ঢেউয়ে ভাসা তরী,
যে তীর পেয়েও কূল ছাড়ি।
আমি সেই রক্তিম আভা,
যে বিষন্ন বিকেলের ছায়ামানবী।
আমি সেই চৈত্রের দুপুর,
যার মৃত্তিকা বনে খরার চিত্র আঁকি।
আমি সেই শীতল হওয়া,
যে মাঘের শীতে শিউরে তুলি।
আমি সেই ট্রয় নগরী,
যার অস্তিত্ব জুড়ে তাম্রবর্ণের মিতালি।
আমি সেই লাল-সবুজের বর্ণালি,
যার মিশ্রবর্ণে অমাবস্যার রাত আমি।
আমি সেই মধু মাসের মাধবীলতা,
মৌমাছির শূলে বিচরণ করি।
আমি রোদের মাঝে সেই দর্পণখানি,
যার রশ্নিতে সাতকাহন আমি।
লেখক: নাহিদা সুলতানা নুরি