আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যে প্রযুক্তিগুলো ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে তার মধ্যে স্মার্টফোন অন্যতম। এটি যেমন দরকারি, তেমনি এর প্রতি আসক্তি আপনার সন্তানকে নানা বিপদে ফেলতে পারে। তাই শিশুর হাতে স্মার্টফোন দেবেন না।
স্মার্টফোনের আপনার সন্তানের জীবন যাপনের প্রতি ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। আসুন জেনে নেই কেন শিশুর হাতে স্মার্টফোন দেবেন না।
আচরণগত সমস্যা
খুব বেশি কম্পিউটার ও মোবাইল ব্যবহারের ফলে শিশুদের মধ্যে আচরণগত সমস্যা দেখা দেয়। আপনার শিশুকে আচরণগত সমস্যার ঝুঁকি থেকে দূরে রাখতে চাইলে ওর হাতে স্মার্টফোন দেবেন না!
ছোট বয়সে মোবাইল
অনেক মা-বাবা শিশুকে ব্যস্ত বা শান্ত রাখতে হাতে মোবাইল দিয়ে রাখেন। নিজেদের সুবিধা বা আরামের ফল পরবর্তীতে ভয়ঙ্কর হতে পারে। বিশেষ করে একেবারে ছোট বয়সে মোবাইল হাতে দিলে শঙ্কাটা বেশি৷
নিজেরাই পরীক্ষা করুন
যে শিশু নিয়মিত মোবাইল ব্যবহার করে, তাকে কয়েকদিন মোবাইল থেকে দূরে রাখুন৷। তার আচরণের পরিবর্তনটুকু নিজেরাই বুঝতে পারবেন।
বয়স যখন সাত
তবে ৭ বছর বয়সের শিশুদের দিনে আধ ঘণ্টা মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, টিভি বা ট্যাবলেট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বই পড়ার উপকার
একটি শিশু যখন একটি বই পড়ে বা ছবির বই দেখে, তখন কিন্তু সে নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে কখন সে বইয়ের পাতা উল্টাবে। অর্থাৎ, শিশুটি তখন তার নিজের গতিতে চলতে পারে। ফলে তাকে তাড়াহুড়ো করতে হয় না।
বাইরে খেলতে দিন
শিশুরা মুক্ত বাতাসে খেলাধুলা করে যে প্রচুর আনন্দ পায়। একটি শিশুর শারীরিক ও মানসিকভাবে ফিট থাকার জন্য মুক্ত হাওয়া যেমন প্রযোজন, তেমনি প্রয়োজন মুক্ত পরিবেশ। তবেই সে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে উঠতে পারে