একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দেশজুড়ে বইছে নির্বাচনী হওয়া। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকেই মনোনয়নপত্র বিক্রি করছে রাজনৈতিক দলগুলো। দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহকালে বুধবার ( ১৪ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় বিএনপি নেতাকর্মীদের।
বিএনপি নেতাকর্মীদের দায়ী করে এই সংঘর্ষকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে আওয়ামী লীগ। পুলিশের উপর হামলার নিয়ে ব্রেকিংনিউজ.কম.বিডির সঙ্গে মুঠোফোনে যুক্ত হন দলটির একাধিক শীর্ষ নেতা। তাদের প্রতিক্রিয়াগুলো তুলে ধরা হলো:
আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন করতে চায় না। তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়। নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হিসেবে ২০১৪ সালের মত আবার পুলিশের ওপর তারা হামলা শুরু করেছে। অচিরেই তারা জনসাধারণের ওপর হামলা করবে।’
তিনি বলেন, ‘এভাবে হামলা করলে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী তাদের মত করে ব্যবস্থা নিবে। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করবে।’
তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেন বলেন, ‘বিএনপি গণতন্ত্রের কথা মুখে বললেও তারা হিংসাত্মক ও সন্ত্র্রাসী রাজনীতি করে। বিএনপির গণতন্ত্রের কথা শুধু মুখে-মুখে। দলটি গণতন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। অতীতে তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা করেছে। তারা এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করে নির্বাচনকে ব্যাহত করতে চায়। আজকের এ ঘটনা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র। দেশের জনগণ নির্বাচন বানচালেন সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে।’
আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘আজকে নয়াপল্টনে বিএনপির কোনো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ছিলোনা । এমন না যে সেখানে আমাদের কোনো দলের সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং ছিলো না। গত কয়েক দিন আগে শৃঙ্খলার সাথে আওয়ামী লীগে হাজার হাজার নেতাকর্মীরা মনোনয়ন সংগ্রহ করেছে। বিনা উসকানিতে নয়াপল্টন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে যে নাশকতার ঘটনার ঘটেছে তার সাথে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র রয়েছে। তারা নির্বাচনের সিডিউল পিছানোর দাবি করেছে। তাদের দাবিতে নির্বাচনের তফসিল পিছানো হয়েছে। তারপরও তারা পুনরায় নির্বাচন পেছাতে চাচ্ছে। নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে বিএনপি সাংবিধানিক সংকট তৈরি করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।’
আওয়ামী লীগের কার্যৈনির্বাহী কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি বলেন, ‘আজকের এ ঘটনায় বিএনপি আবারও প্রমাণ করলো তারা ষড়যন্ত্রকারী। সন্ত্রাসী দল। তারা নিবার্চন চায় না। নির্বাচন বানচাল করার জন্য তারা নাশকতা শুরু করেছে। তারা দেশের জনগণের কাছে থেকে বিচ্ছিন্ন।’
উল্লেখ্য, বুধবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় বিএনপি নেতাকর্মীদের। এসময় পুলিশের গুলিতে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষ চলাকালে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুরো নয়াপল্টন এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।