বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য অবৈধ সরকার সম্ভাব্য সব প্রচেষ্টাই চালাচ্ছে অভিযোগ করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,‘সরকার আরও একটি ভোটাবিহীন নির্বাচন করার জন্য কূটকৌশল হাতে নিয়েছে। সে কারণে আজকে সারাদেশে গায়েবি মামলার ছড়াছড়ি। যা দেশের মানুষের মধ্যে উদ্ধেগ-উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করেছে’।
শনিবার (৬ অক্টোর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন,‘আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই সরকার সবধরনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগ নেয়ার জন্য আমরা বহুবার আহবান জানিয়েছি। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করছেন না। তাদের উদ্দেশ্য একটাই আরও ভোটারবাহীন নির্বাচন করা।যার কারনে তারা এখন গায়েবি মামলার পথ বেছে নিয়েছে যে মামলা থেকে মৃত ব্যক্তি পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছে না’।
সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন,‘কি চমৎকার তাদের গণতন্ত্র। তিনি সারাদিন বলছেন সুষ্ঠু ভোট হবে। এই হলো তাদের গণতন্ত্রের নমুনা’।
বিএনপির দেয়া ৭ দফা দাবি মেনে নেয়াই হলো নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করা এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন,’নির্বাচনের আগে আমাদের কারাবন্দি নেত্রীকে মুক্তি দেয়াসহ আমাদের যৌক্তিক দাবি গুলো মেনে নিলেই কেবলমাত্র সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে’।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘দেশের সব মানুষকে সঙ্গে নিয়েই আমরা সরকারের সব ধরনের ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করবো’।
সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড.আব্দুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।