দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নিয়ে শোভন ও রাব্বানি ভাইয়ের ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা ও স্বপ্নঃ
১. সকল ইউনিটে মেধা, শ্রম, ত্যাগ সর্বোপরি যোগ্যতার মূল্যায়ন নিশ্চিত করা হবে। গ্রুপিং ও মাইম্যান নীতি পরিহার করে দেশরত্ন শেখ হাসিনা অন্ত:প্রাণ খাঁটি আদর্শিক কর্মীদের মূল্যায়ন সুনিশ্চিত করা হবে।
২. স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা ও সাংগঠনিক কাজে সকল নেতাকর্মীর আনুপাতিক অংশগ্রহণ ও কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করা হবে।
৩. প্রমাণসাপেক্ষে যাচাবাছাই করে ছাত্রলীগের সকল ইউনিট এবং কমিটি থেকে অনুপ্রবেশকারী ছাত্রদল-শিবির ছাঁটাই করা হবে।
৪. সাধারণ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে, অধিকার আদায়ে ও বন্ধবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠায় করণীয় নিয়ে নিয়মিত মতবিনিময় সভা আয়োজন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সুপারিশের ভিত্তিতে কাজ করবে ছাত্রলীগ।
৫. নিরক্ষরতা দূরীকরণে সারাদেশে ছাত্রলীগ এলাকাভিত্তিক টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে বয়স্ক শিক্ষা, গণশিক্ষা কার্যক্রম শুরু করবে, কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে সরাসরি মনিটর করবে।
৬. ছাত্রলীগের নিজস্ব ফান্ড গঠন করা হবে, যা শতভাগ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে চলবে। সে ফান্ডের মাধ্যমে সংগঠনের অসুস্থ-দুর্ঘটনা পিড়ীত কর্মীরা সাহায্য পাবে, সামাজিক ও মানবিক কাজে অবদান রাখবে ছাত্রলীগ।
৭. বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা শিক্ষাবৃত্তি চালু: সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সুবিধাবঞ্চিত, মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করা হবে।
৮. ছাত্র সংসদ নির্বাচন : ডাকসুসহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়- কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করে শিক্ষার্থীদের মন জয় করেই দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে ভিপি-জিএস উপহার দেবে ছাত্রলীগ।
৯. ছাত্রলীগের ইতিবাচক প্রচারণা ও অথেনটিক তথ্যের জন্য নিজস্ব নিউজ পোর্টাল ও দেশের সকল ইউনিটের সাথে আন্ত:যোগাযোগ রক্ষায় ডিজিটাল ডাটাবেজ প্রস্তুত করা হবে।
১০. ছাত্রলীগের নিজস্ব আইটি সেল গঠন করা হবে, যেখানে কর্মীরা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বিভিন্ন শিফটে কাজ করবে। অনলাইনে
ছাত্রলীগের ভালো কাজ ও সরকারের উন্নয়ন সারাদেশে তুলে ধরবে, পাশাপাশি বিএনপি-জামাতের অপপ্রচার, গুজব, মিথ্যা প্রোপাগান্ডা প্রতিহত করবে।
১১. সকল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের মান উন্নয়নে, বৃহৎ পরিসরে আধুনিক স্টাডি রুম প্রতিষ্ঠায় ছাত্রলীগ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করবে।
১২. দেশের সকল ইউনিটের নেতা-কর্মীদের যেকোনো সাংগঠনিক সমস্যা, অভিযোগ, চাওয়া- প্রত্যাশা মূল্যায়নে আলাদা বিভাগীয় সেল গঠন। মাসিক রিপোর্ট পর্যালোচনা করে সমাধানে সচেষ্ট থাকবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
১৩. ছাত্রলীগকে বিশ্ব পরিমন্ডলে তুলে ধরতে বিভিন্ন দেশের ছাত্র প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানিয়ে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স
করবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
১৪. দেশব্যাপী মজবুত সাংগঠনিক ভিত্তিকে কাজে লাগিয়ে সরকারের সকল ইতিবাচক কাজ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে উন্নয়নের তথ্য ওয়ার্ড-ইউনিয়ন লেভেলে ছড়িয়ে দিতে প্রজেক্টর সহ ভিডিও ক্যাম্পেইন করবে ছাত্রলীগ।
১৫. ছাত্রলীগের ওয়েবসাইটকে বিশ্বমানে উন্নীতকরণ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেরিফাইড পেইজের মাধ্যমে সকল
কর্মকান্ডের নিয়মিত আপডেট জানানো হবে।
১৬. গণমাধ্যমের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ, তথ্য আদানপ্রদান ও ইতিবাচক কাজের প্রচার-প্রচারণায় আলাদা ‘মিডিয়া সেল’ ও একটিভ টিম গঠন করবে ছাত্রলীগ।
১৭. বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা, মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস, গুণীজনের লেখনী, সমসাময়িক রাজনীতি প্রভৃতি নিয়ে কাজ করতে নিজস্ব গবেষণা সেল গঠন ও নিজস্ব প্রেসের মাধ্যমে সাপ্তাহিক-মাসিক- ত্রৈমাসিক প্রকাশনার উদ্যোগ নেবে ছাত্রলীগ।
১৮. ইতিবাচক সামাজিক, রাজনৈতিক ও মানবিক উদ্যোগে কর্মীদের উৎসাহ- অনুপ্রাণা দিতে কাজের মূল্যায়ন করে সেরা ইউনিট, শ্রেষ্ঠ সংগঠক, সেরা কর্মী প্রভৃতি শিরোনামে স্বীকৃতি প্রদান ও কার্যকর মোটিভেশন ও পুরস্কারের ব্যবস্থা করবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
১৯. কর্মীদের বইমুখী ও জ্ঞানপিপাসু করতে প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক পাঠচক্র কার্যক্রম, বিতর্ক, উপস্থাপনা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় গুরুত্ব দেবে ছাত্রলীগ।
২০. কমিটি গঠনসহ যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ, দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট ইউনিট ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে।
সংগঠনের অতীত ঐতিহ্য ফেরাতে, ইতিবাচক ইমেজ বাড়াতে ছাত্রলীগের যেকোনো পর্যায়ের নেতা-কর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী, সমর্থকের গঠনমূলক পরামর্শ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে ছাত্রলীগ। ভবিষ্যতে অবিভাবকরা গর্ব করে বলবে আমার সন্তান ছাত্রলীগ করে।