জামালপুরের এক স্কুলে সপ্তম শ্রেণির দুই ছাত্রের খপ্পরে পড়ে একই শ্রেণির ১৩ ছাত্রীর নেশার ট্যাবলেট সেবনের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। এ ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত দুই ছাত্রকে বহিষ্কার করেছে।
স্কুলের শিক্ষকরা বলেছেন, ছাত্রীরা দুই ছাত্রের দেয়া ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে সাময়িক অসুস্থ হয়েছিল। এখন তারা সবাই সুস্থ আছে। ঘটনা তদন্তে সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল বারীকে প্রধান করে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ছাত্রীরা জানায়, গত মঙ্গলবার টিফিনের সময় সপ্তম শ্রেণির দুই ছাত্র আবীর হোসেন ও রাকিব একই শ্রেণির ছাত্রীদের নেশার ট্যাবলেট খাওয়ার অফার করে বলে এতে মন প্রফুল্ল ও চাঙ্গা থাকে, ঘুম কম হয়, লেখাপড়ায় মন বসে।
একথা শুনে ১৩ জন ছাত্রী ট্যাবলেট খেতে রাজি হয়। পরে আবীর হোসেন ও রাকিব তাদের একটি করে নেশার ট্যাবলেট দিলে তারা সবাই সেবন করে। বাড়ি ফিরে ওই রাতে সবাই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। পরদিন বুধবার অনেকেই দিনভর ঘুমাতে থাকে। কেউ কেউ স্কুলে এসে শ্রেণিকক্ষেই ঘুমিয়ে পড়ে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে স্কুল ছুটি দেয়া হয়।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম জানান, ছাত্রীদের মিথ্যা কথা বলে নেশার ট্যাবলেট সেবন করার ঘটনা দুঃখজনক। দুই ছাত্রকে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দোষী দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য ম্যানেজিং কমিটির সভা ডাকা হয়েছে।