বড়লেখায় শিশু রোগীবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্স পরিবহন শ্রমিকরা দফায় দফায় আটকে দেয়ায় মুমূর্ষু এক শিশু রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
রোববার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার চান্দগ্রামবাজার এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
শিশুটি বড়লেখার অজমির গ্রামের কুটন মিয়ার মেয়ে। ৭দিন আগে তার জন্ম হলেও এখনও নাম রাখা হয়নি।
মৃত শিশুটির চাচা আকবর আলী বলেন, ভাতিজি অসুস্থ হয়ে পড়লে রোববার সকালে তাকে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাই। চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত সিলেট নেয়ার পরামর্শ দেন। অ্যাম্বুলেন্সে করে সিলেট যাওয়ার পথে বড়লেখা উপজেলার দরগাবাজারে পরিবহন শ্রমিকরা অ্যাম্বুলেন্সটি আটকে দেয়। কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দেয়। একইভাবে দাসেরবাজার এলাকায় তাদেরকে আবারও আটকানো হয়। সেখান থেকে কোনোমতে ছাড়া পেয়ে চান্দগ্রাম বাজারে আবারও শ্রমিকরা গাড়িটি আটকায়।
তিনি বলেন, এ সময় অ্যাম্বুলেন্স চালককে গাড়ি থেকে নামিয়ে অমানবিকভাবে মারধর করে। হাসপাতালে পৌঁছতে না পারায় নবজাতক শিশুটি পথেই মারা যায়। পরে বিয়ানীবাজার হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আমরা থানায় অভিযোগ করেছি।
অপরদিকে উপজেলার সীমান্তবর্তী শাহবাজপুরের এলাম অর্জুনপুর থেকে বরযাত্রী বাহী গাড়ি বহর কানলী ব্রিজ এলাকায় যাওয়ার পরই পরিবহন শ্রমিকরা প্রথমে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে হামলা চালায়। দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে বরযাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে এক বরযাত্রী ভিডিও করতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উভয় পক্ষের ৮ আহত হন।