সম্পর্কের ব্রেকাপেরও শাস্তির আইন ঘোষনা করল সুপ্রিম কোর্ট। আইনগত ভাবে যেমন সম্পর্ক গড়াও যায় তেমনি সম্পর্ক ভাঙলে শাস্তিও হতে পারে আইনগত ভাবেই।
শরীর নিয়ে খেললে যেমন আইন অপরাধীকে ধর্ষণের সাজা দিয়ে থাকে তবে কারোর মন ভাঙলে শাস্তি পাবে না কেন?
ধর্ষণের যদি শাস্তি হয়ে থাকে তবে সম্পর্ক ব্রেকাপ করলে শাস্তি হবে না কেন? এরকম দেশের অনেকেই দাবি করেছেন। শরীরের যন্ত্রনা তো বাইরে থেকে দেখা যায়, মানুষকে বলাও যায়!
অনেকেই আছেন যারা শুধুমাত্র টাইমপাসের জন্য একটা সম্পর্কে জড়িয়ে থাকে। পরে বাবা মা-র পছন্দ করা জনকেই বিয়ে করে নেন। আবার অনেকে এমনও আছেন নতুন কাউকে পেয়ে পুরনোজন কে ভুলে যান।
এবার আর নয়। এতদিন ধরে মন ভাঙার কোনো শাস্তিই ছিল না কিন্তু এখন মন ভাঙাও একধরনের ক্রাইম। তাই এরা সবাই এই সমাজের চোখে এক একটি ক্রিমিনাল।
রিলেশনশিপে বেশিরভাগ সময় ক্ষেত্রে মেয়েরাই ছেলেদের কাছ থেকে বেশি আহত হয়েছেন। ব্রেকাপ অবশ্য ছেলে অথবা মেয়েরা উভয়েই কম বেশি করে থাকেন। এই ব্রেকাপের জন্য দেশে বাড়ছে সুইসাইডের প্রবনতা।
উচ্চ আদালত জানিয়েছেন এবার ব্রেকাপ হলে ছেলে অথবা মেয়ে যে কেউ নিকটবর্তি থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। ২৪ ঘন্টার মধ্যে অ্যারেস্ট করা হবে অভিযুক্তকে। অবশ্য এক্ষেত্রে নাবালক বা নাবালিকা হলে অভিযোগটি বাতিল করা হবে।
দেশে এইরকম আইন আসাতে স্বস্থির নিঃশাস ফেলেছেন অনেকে। অনেকে এই নয়া আইনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। উগান্ডার রাষ্ট্রপতি বলেছেন “যে বা যারা সম্পর্কের মিথ্যে নাটক করে দু একদিনের জন্য টাইমপাস করতে আসে তার অপরাধের ক্ষমা নেই।
এদের মতন ক্রিমিনালদের উচ্চ থেকে উচ্চতর শাস্তি হওয়া দরকার।”
এই ধরনের অপরাধিদের কমপক্ষে দুবছরের কারাদণ্ড এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে বলে জানিয়েছে উগান্ডার উচ্চ আদালত। উচ্চ আদালতের এই ধরনের আইন ব্যবস্থা কে সম্মান ও সহমত জানিয়েছেন সারা দেশবাসী। সকলেই আশাবাদী এরপর থেকে প্রেমে আর কেউ কাউকে ছেড়ে যাবার আগে অসংখ্যবার ভাববে।