যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের ‘বন্দী/অপরাধী বিনিময় চুক্তি’ চূড়ান্ত পর্যায়ে। এই চুক্তি স্বাক্ষর হলে, এক দেশের আদালত কর্তৃক স্বীকৃত অপরাধী অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ঐ দেশ তাকে বন্দী করে ফেরত পাঠাবে। এই দুই প্রক্রিয়ার অগ্রগতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। ধারণা করা হচ্ছিল যে, আগামী জুনের মধ্যে তারেক জিয়ার লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয় পর্ব সমাপ্ত হবে।
উল্লেখ্য, গত এক বছর ধরেই লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে দেশে ফিরিয়ে আনার কূটনৈতিক এবং আইনগত তৎপরতা জোরদার করে। গত জুনে প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্য সফরে গেলে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে ‘দণ্ডিত তারেককে’ ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানান। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলা রায়ের পর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তারেক জিয়াকে ফিরিয়ে দেয়ার আনুষ্ঠানিক দাবি উত্থাপন করা হয়।
তাই ‘দুর্নীতির বরপুত্র’ বলে খ্যাত তারেক জিয়া মিথ্যার বেসাতি করতে গিয়ে ধরা খাওয়ার আতঙ্কে অস্থির হয়ে পড়েছেন। তাই যুক্তরাজ্যে বসবাসের অধিকার হারালে দুবাই বা সৌদি আরবে যেতে পারেন তারেক জিয়া। তারেক জিয়ার আইনজীবীরা যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরে এই মনোভাব জানিয়ে চিঠি দিয়েছে।
জানা যায়, এই দুই দেশেই জিয়া পরিবারের বিপুল সম্পদ এবং ব্যবসা রয়েছে। সে কারণেই দেশ দুটি তারেক জিয়াকে তাদের দেশে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি দিয়েছে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারেক জিয়ার জন্য এরকম ইচ্ছা প্রকাশ করার সুযোগ নেই। ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘বন্দী/অপরাধী বিনিময় চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হলে তারেক জিয়া অপরাধী। তখন চুক্তির শর্ত পূরণের জন্য তারেক জিয়ার অভিপ্রায় প্রকাশের কোন সুযোগ থাকবে না। বাংলাদেশে প্রাপ্ত দণ্ড সম্পর্কিত আদালতের আদেশের কপি পাওয়ামাত্রই তারেক জিয়াকে চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাজ্য সরকার বন্দি করবে এবং বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে।