শিশু, বয়স্ক সবারই হচ্ছে ডেঙ্গু জ্বর। ডেঙ্গু হলে খাবার-দাবার ও পুষ্টির দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। বিশেষ করে শিশুদের জ্বর হলে তারা খাওয়া একেবারেই ছেড়ে দেয়। এ থেকে হতে পারে পানিশূন্যতাসহ নানা জটিলতা। বাড়িতে কারও ডেঙ্গু জ্বর হলে তাই নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখুন।
* সাধারণত ডেঙ্গু জ্বর হলে চিকিৎসকেরা সারা দিনে অন্তত আড়াই লিটার থেকে তিন লিটার পানি পান করার পরামর্শ দেন। জ্বর হলে পানি পান করতে অনেকেরই ইচ্ছে হয় না। তাই পানির চাহিদা পূরণ করতে পানির সঙ্গে ফলের রস (কেনা জুস নয়, বাড়িতে করা রস), ডাবের পানি যোগ করুন। ফলের রসে ভিটামিন সি আছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। মাল্টা, কমলা, লেবু, পেয়ারা, কিউই, স্ট্রবেরি, পেঁপে, আনার বা ডালিম ইত্যাদি খেতে হবে। এসব ফলে জলীয় অংশ অনেক। তা ছাড়া রুচি বাড়াতেও সাহায্য করবে। ডাবের পানিতে খনিজ বা ইলেট্রোলাইটস আছে, যা ডেঙ্গু জ্বরে খুবই দরকারি।
* বিভিন্ন ধরনের সবজি থেঁতো করে জুস করে খেলে খুবই উপকার হবে। গাজর, টমেটো, শসা ইত্যাদি সবজি বেশি করে খেতে দিন। কেননা এতে জলীয় অংশ বেশি। ব্রকোলি ভিটামিন কে এর উৎস, যা ডেঙ্গুতে রক্তপাতের ঝুঁকি কমায়। খেতে হবে নানা ধরনের শাকও।
* ডেঙ্গু রোগীকে প্রতিদিন নানা ধরনের স্যুপ, যেমন সবজির স্যুপ, টমেটোর স্যুপ, চিকেন স্যুপ বা কর্ন স্যুপ দিন। এতে পানির চাহিদা পূরণ হবে, পাশাপাশি পুষ্টিও নিশ্চিত হবে। এ ছাড়া নরম সেদ্ধ করা খাবার, জাউ, পরিজ ইত্যাদি খেতে পারেন।
* ইদানীং ডেঙ্গুতে অনেকেরই পেটে হজমের সমস্যা, বমি, পেট ব্যথা হচ্ছে। যকৃতেও অস্বাভাবিকতা হয় ডেঙ্গুতে, এসজিপিটি বেড়ে যায়। তাই অতিরিক্ত মসলা ও চর্বি তেলযুক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো। তবে খাদ্যতালিকায় আমিষ থাকতে হবে যথেষ্ট। দুধ, ডিম ও এগুলোর তৈরি নানা খাবার, মাছ ও মুরগি খেতে হবে।
* নানা ধরনের ভেষজ খাবারের উপকারিতা আছে। যেমন পেঁপে পাতা অণুচক্রিকা বাড়াতে সাহায্য করে বলে ডেঙ্গুতে উপকারী। দুটি তাজা পেঁপে পাতা চূর্ণ করে বেটে রস করে এক চামচ করে দুবেলা পান করতে পারেন।
-জেনিফার বিনতে হক
পুষ্টি বিশেষজ্ঞ, গ্রিন লাইফ হাসপাতাল।
আরও পঠিত খবর
জীবনে সাফল্য পাওয়ার জন্য যে ৩টি জিনিস সবচেয়ে দরকারি
জীবনে চলার বাঁকে আমরা কখনো না কখনো হতাশায় ভুগি। কখনো কাজের চাপে, কখনো চাকরি না …