বেসরকারি জরিপ সংস্থা Build Better Bangladesh এবং KHN Research Team মাঠ জরিপে জনমত যাচাই করে দেখেছে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে সাবেক কৃষি, পর্যটন ও বেসরকারি বিমান চলাচল বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখ্রুল ইসলাম আলমগীর এর চেয়ে আওয়ামী লীগ এর বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী ও বর্তমান এমপি রমেশ চন্দ্র সেন ৩০ শতাংশ এগিয়ে রয়েছেন।
পরিসংখ্যানে ঠাকুরগাঁও – ১ আসনঃ
মোট ভোটারঃ ৪,২২,১২৪ জন।
পুরুষ ভোটারঃ ২,১১,৮১৭ জন।
মহিলা ভোটারঃ ২,১০,৩০৭ জন।
পেশায় ব্যবসায়ী রমেশ চন্দ্র সেন রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত আছেন। তিনি তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি সংসদ সদস্য ও রাজনীতিবিদ হিসেবেই সমধিক পরিচিত।
রমেশ চন্দ্র সেন ১৯৪০ সালের এর ৩০ এপ্রিল জন্মগ্রহণ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার (বর্তমান রুহিয়া থানা) মণ্ডলপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তার বয়স ৭৮ বছর।
১৯৮৬, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে এই আসনে সাংসদ হন আওয়ামী লীগের খাদেমুল ইসলাম। ১৯৯৬ সালে তাঁর মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেয়ে সাংসদ হন রমেশ চন্দ্র সেন।
রমেশ চন্দ্র সেন এলাকায় দৃশ্যমান অনেক উন্নয়ন করেছেন। নির্বাচনী এলাকায় এখনো তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা প্রধানত তিনটি কারণে – স্বচ্ছ রাজনৈতিক ইমেজ, সততা এবং জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা। তিনি সবসময় জনগণের কাছাকাছি থাকতে ভালবাসেন। একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক, সমাজসেবক, সৎ, নির্লোভ ও নিরহংকারী এই প্রখ্যাত রাজনৈতিক একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। ভোটের জন্য নিয়মিত নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচারনা করছেন।
এদিকে রমেশ চন্দ্র সেন এর বিরুদ্ধে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন বর্তমান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখ্রুল ইসলাম আলমগির। তিনি এর আগে কৃষি, পর্যটন ও বেসরকারী বিমান চলাচল বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিএনপি মহাসচিব হওয়ার পূর্বে তিনি ২০ই মার্চ ২০১১ সাল থেকে টানা পাঁচ বছর দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মির্জা ফখ্রুল ইসলাম আগমগীর ১৯৪৮ সালের ১ আগস্ট ঠাকুরগাঁও জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মির্জা রুহুল আমিন একজন সক্রিয় রাজনীতিবিদ ছিলেন, যিনি ঐ অঞ্চলের একজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব হওয়ার সুবাদে ফখ্রুল ইসলাম আলমগীরকে প্রায় সবসময় দলের কেন্দ্রিয় কমিটির কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। নির্বাচনী এলাকায় সব স্তরের মানুষের সাথে মেলামেশা হয় না। এভাবে জনগণের সাথে তার দূরত্ব বেড়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে মনগড়া নির্বাচনী ইশতেহার, বাস্তবতায় ব্যাপক অমিল – ফখ্রুলের জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ার এগুলিও অন্যতম কারণ মনে করছেন তারা। তাছাড়া বিএনপি-জামায়াত এর হত্যার প্রতিহিংসাপরায়ন হত্যার রাজনীতি, লাশের মিছিল, চাঁদাবাজি, বোমাবাজি, ও দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানানোর সুপরিকল্পিত পায়তারা জনগণ এখনো ভুলে যায় নি।
Build Better Bangladesh and KHN Research Team উদ্ধৃত করে বলেছে – এমপি রমেশ চন্দ্র সেন এবারো ব্যাপক ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন।