এই পাচজনই ১য় সংসদ থেকে ১০ সংসদ পর্যন্ত ঠাকুরগাও-১ আসনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও সংসদ সদস্য ছিলেন।কে এলাকার জন্য কোন কাজ করেছেন তা জনগনের জানা দরকার।এখানে উল্লেখ করতে চাই মুজিব সরকারের ৩ বছর,জিয়া সরকারের ৬ বছর,এরশাদ সরকার- ৯বছর,খালেদা সরকার-১০ বছর ও হাসিনা সরকার-১৫ বছর দেশ পরিচালনা করেছেন।কোন সরকারের আমলে কোন সংসদ সদস্য ঠাকুরগার জন্যকতটুকু করতে পেরেছে বা আনতে পেরেছেন ও ঠাকুরগার উন্নয়ন করেছেন এটাই লক্ষ্যনীয়—-।
(প্রত্যেক সরকারের আমলে সরকারের কিছু চললাম কার্যক্রম তথা রাস্তা-ঘাট,স্কুলের বিল্ডিং করে থাকে।যা আমি এখানে উল্লেখ করলাম না।আমি ঐ সব কার্যক্রম উল্লেখ করলাম যা তিনি(সংসদ সদস্য) বিশেষ ক্ষমতায় এনেছেন)।
আলহাজ্ব ফজলুল করিমঃ–তিনি প্রথম সংসদ সদস্য ছিলেন।স্বাধীনতার পর এই ধ্বংশস্তুপ দেশে তার করার কিছুই ছিলো না।
রেজওয়ানুল হক (ইদু)চৌঃ–তিনি ২য় ও ৪র্থ সংসদ সদস্য ছিলেন।যার হাত দিয়ে ঠাকুরগাও সরকারী কলেজ,রিভারভিউ হাই স্কুল,সি,এম,বালিকা বিদ্যালয়,ভূল্লী হাই স্কুল, তার খামার বাড়িতে উমেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়,ফজিলাতুন নেসা সরকারী এতিমখানা প্রতিষ্ঠিত।
তিনি সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় যে উল্লেখ যোগ্য কাজগুলো হয়েছে তার মধ্যে বুড়ির বাধ প্রকল্প,ঠাকুরগাও কলেজকে সরকারী করন,কৃষির উন্নয়নের জন্য টাঙ্গন ব্যারেজ,পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নতুন ভাবে সাজিয়ে ২৭০ টি ডিপ টিউবয়েল স্থাপন।ঠাকুরগার সর্ব বৃহৎ এন,জিও মধ্যে ই,এস,ডি,ও এবং মানব কল্যানকে রেজিষ্ট্রেশনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত।তা ছাড়াও তিনি সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় রুহিয়া বালিকা বিদ্যালয়, ঠাকুরগাও মহিলা কলেজ,সালান্দর কলেজ,গড়েয়া কলেজ ও রোড কলেজ তার সময় এম,পি,ও ভূক্ত হয়েছে।তার সময় ঠাকুরগার ঐতিহ্যবাহী সেনুয়া ব্রীজ তৈরী হয়েছে।তাছাড়াও তিনি যখন সমাজকল্যান মন্ত্রী ছিলেন তার আগে এ এলাকার লোকেরা জানতো না মদ্রাসাগুলো বৎসরে ক্যাপিটেশন গ্রান্ড পায়।যা ঐ সময় থেকে মাদ্রাসাগুলো পেতে শুরু করেছে।
খাদেমুল ইসলামঃ–তিনি ৩য়,৫ম ও ৭ম(আংশিক) সংসদ সদস্য ছিলেন।মাননীয় সংসদ সদস্যের হাত দিয়েও বহু ব্যক্তিগত প্রতিষঠান হয়েছে।উনার দূর্ভাগ্য উনি যখন ৩য় ও ৫ম সংসদ সদস্য ছিলেন তখন সরকার তার পক্ষের সরকার ছিলেন না।যার জন্য ঐ সময় তিনি উল্লেখযোগ্য কাজ করতে পারেন নাই।যখন উনি ৭ম সংসদ সদস্য নির্বিচিত হলেন এবং উনার দল সরকার তখন উনার কপালে ক্ষমতা সইল না উনি আড়াই বছরের মাথায় ইন্তেকাল করেন।
মির্জা আলমগীরঃ–৬ষ্ঠ(১৫ দিনের জন্য) ও ৮ম সংসদ সদস্য ছিলেন।তিমি ‘৯১ ও ‘৯৬ তে হেরে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেন এক পর্যায় ভোট ভিক্ষা চান।মানুষ তাকে ২০০১ সালে ৭ম সংসদে ভোট ভিক্ষা দিয়ে সংসদ সদস্য বানিয়েছিলেন।আল্লার রহমতে ঐসময়ে তার দল বি,এন,পির সরকার গঠন করাতে উনি মন্ত্রীও হন।কিন্তু উনি যে কোন কারনে মানুষের চাহিদা অনুযায়ী ডেভলাপমেন্ট করতে পারেন নাই।আমার জানা মোতাবেক উনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিপটিউবয়েল গুলো যখন বিশেষ কারনে বন্ধ ছিল তখন তিনি বরেন্দ্রকে এখানে এনে টিউবয়েলগুলো চালু করেছিলো।তার সময় এখানে সর্ব বৃহৎ পলট্রি কাজী ফার্ম প্রতিষ্ঠিত হয়,শিল্পকলা প্রতিষ্ঠিত হয়,বি,ডি হল প্রতিষ্ঠিত হয়।জামালপুর কলেজ এম,পি,ও ভূক্ত হয়।
বাবু রমেশ চন্দ্র সেনঃ–৭ম(আংশিক),৯ম ও ১০ম সংসদ সদস্য ছিলেন।তার হাতে অনেক নিজস্ব প্রতিষ্ঠান তৈরী হয়েছে।তিনি সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে দুই সরকারী স্কুলে ডোবল সিপটিং,ঠাকুরগাও বাসষ্টেন্ড থেকে রোড পর্যন্ত ডিভাইডার,গোবিন্দনগর পলিটেকনিক কলেজ,পঞ্চগড়ের রাস্তায় পলিটেকনিক ইন্টিটিুট,রুহিয়া থানা,বাশিয়াদেবীর ব্রীজ ও খোচাবাড়ি দিয়ে শীবগন্জ বাইপাস রোড উল্লেখযোগ্য।তার সময় ফাড়াবাড়ি কলেজ,আবুল হোসেন কলেজ,রুহিয়া মহিলা কলেজ এম,পি ও ভুক্ত হয়েছে।তবে তার আরো কাজ চলমান।তার মধ্যে রেল লাইন স্থাপন করে ঠাকুরগাও টু ঢাকা রেল চালু ও সুগারমিলকে ৪৫০ কোটি টাকা দিয়ে সংস্কার।
এখানে আমি সবিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করতে চাই আমার লেখায় অনেক ভূল থাকতে পারে।আপনারা আমার ভূল তথ্য সঠিক করে ও পোষ্টটি ভবিষ্যতে আরো সমৃধির জন্য আপনারা আপনাদের প্রয়োজনীয তথ্য দিয়ে সাহায্য করলে বাধিত ও উপকৃত হবো।