এক সময় রূপচর্চার অন্যতম অনুষঙ্গ ছিল প্রাকৃতিক বিভিন্ন ভেষজ উপাদান। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে গেছে সৌন্দর্যচর্চার উপকরণও। আজকাল চুলের যত্নে নানা ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করা হয়। নারিকেল তেল তো আছেই।
কিন্তু শুনে অবাক হলেও সত্যি যে, চুলের যত্নে সরিষার তেল খুবই কার্যকরী। সরিষার তেল রক্ষতা দূর করে চুল ঝরঝরে করতে সাহায্য করে।
চুলে সরিষার তেল ব্যবহারে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়:
১. সরিষার তেলে থাকা আলফা ফ্যাটি অ্যাসিড চুল সুন্দর, স্বাস্থ্যজ্বল রাখে। সেই সঙ্গে এটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনারেরও কাজ করে। ফলে চুল দ্রুত বাড়ে।
২. আজকাল চুল পড়া খুবই সাধারণ সমস্যা। চুলে নিয়মিত সরিষার তেল মালিশ করলে চুলের গোড়া মজবুত হয়ে চুল পড়া বন্ধ হবে।
৩. সরিষার তেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি খনিজ রয়েছে। এছাড়া এতে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে থাকে। এতে থাকা জিঙ্ক, বিটা ক্যারোটিন ও সেলেনিয়াম চুল লম্বা হতে সাহায্য করে।
৪. চুল রুক্ষ, শুষ্ক, নিষ্প্রাণ হয়ে গেলে নিয়মিত মাথার তালুতে সরিষার তেল মালিশ করুন। এতে মাথার তালুতে রক্ত সঞ্চালন ঠিক ভাবে হবে এবং চুলের গোড়া মজবুত হয়ে চুল পড়া বন্ধ হবে।
৫. সরিষার তেলে ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় এটি চুল বড় হতে সাহায্য করে।
৬. সরিষার তেলে অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান থাকায় এটি চুলের খুশকি ও চুলকানি দূর করে।
চুলের সরিষার তেল ব্যবহারে নিয়ম:
১. টক দইয়ের সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে মাথার তালুতে ভালভাবে লাগান। তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন।
২. বাটিতে সরিষার তেল ও অ্যালোভেরা মেশান। মাথার তালুতে ভালভাবে মিশিয়ে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে দিন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
৩. বাটিতে সরিষার তেল, লেবুর রস ও ধনে গুঁড়ো নিয়ে ভালভাবে মেশান। মাস্ক হিসাবে চুলে নিয়মিত মাখুন। আধঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
৪. পাকা কলা চটকে নিন। এতে সরিষার তেল ও দই মেশান। মিশ্রণটা ভালভাবে মাথার তালুতে লাগান। আধঘণ্টা পর সাধারণ শ্যাম্পু লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এবার দেখুন আপনার চুল কত মসৃণ ও ঝরঝরে।