রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত দেশের শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় পাসের হার ও ব্যক্তি ফলাফলে অস্বাভাবিকতা মিলেছে। এই ইউনিটের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ছিল।
প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ স্বীকার করেও গতকাল মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশ করেন।
এতে পাস করেছেন ২৬ দশমিক ২১ শতাংশ। যা ছিল অন্যান্য ইউনিটের চেয়ে রেকর্ড সংখ্যক পাস। এই ইউনিটে ২০১৬ সালে ৯.৮৩, ২০১৭ সালে ১৪.৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল। শুধু তাই নয়- ক, খ এবং গ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা ‘ঘ’ ইউনিটে পেয়েছেন, রেকর্ড সংখ্যক নম্বর।
‘ঘ’ ইউনিটে রেকর্ড নম্বর পেয়ে প্রথম হওয়া ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটে ফেল করেছিলেন। রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করা জিহাদ হাসান আকাশ নিজের ব্যবসায় শাখায় ফেল করেছেন। গ ইউনিটে তিনি পেয়েছেন ৩৪ দশমিক ৩২। বাংলায় পেয়েছিলেন ১০.৮ ইংরেজিতে পেয়েছিলেন ২.৪০, হিসাব বিজ্ঞানে ৫ দশমিক ২৮, ব্যবসায় নীতিতে ৬ দশমিক ৭২ এবং ফিন্যান্স এ ৯ দশমিক ৮৪।
অথচ এই শিক্ষার্থী ঘ ইউনিটে পেয়েছেন ১১৪ দশমিক ৩০। যেখানে বাংলায় ৩০ এর মধ্যে ৩০, ইংরেজিতে ৩০ এর মধ্যে ২৭.৩০, সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়বলিতে ৩০ এর মধ্যে ২৮.৩০ এবং আন্তর্জাতিকের ৩০ এর মধ্যে ২৫.৫০ নম্বর।
বিশ্ববিদ্যায় সূত্র বলছে, কেবল সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীরাই নয়, ক, খ, এবং গ ইউনিটে ফেল করেছেন এমন অন্তত ৮০ শিক্ষার্থী প্রকাশিত ফলাফলে মেধা তালিকার প্রথম ১০০ জনের মধ্যে আছেন।
এ বিষয়ে ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও ঘ ইউনিটের সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘আমরা তাকে ভর্তি করাইনি। তার ফল প্রকাশ হয়েছে। সে আসলে তার বিষয়ে তদন্ত ও যাচাই শেষে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এবং প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এর মাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ জোরালো হলো কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না এটা প্রশ্নফাঁস না, ডিজিটাল জালিয়াতি। যারাই অভিযুক্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান হবে। ব্যবস্থা নেয়া হবে।’