বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জোর করে কারা অভ্যন্তরে স্থাপিত বিশেষ আদালতে আনা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (০৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক আলোচনা সভায় এ অভিযোগ করেন তিনি।
জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে ‘ইভিএম বর্জন, জাতীয় নির্বাচন ও রাজনৈতিক জোট’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।
সভায় তিনি বলেন, ‘আজকে কারাগারের অভ্যন্তরের আদালতে আমাদের আইনজীবীরা কেউ যান নাই। যে দুই-একজন গিয়েছিলেন তারা দেখেছেন একটা ছোট কুঠুরি অন্ধকার গহ্বর। সেখানে বসবার পর্যন্ত কোনও জায়গা নাই। এমন একটা স্থানকে আদালতে রূপান্তরিত করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেখানে বেগম খালেদা জিয়াকে জোর করে হুইল চেয়ারে করে নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি (খালেদা জিয়া) সেখানে বলেছেন, ‘আমার বিচার কী করবেন আপনারা। ন্যায় বিচার হবে না, আমি জানি। আপনারা আমাকে কারাগারের যে কক্ষে রেখেছেন সেখান রেখেই আপনারা বিচার করুন। আমি আপনাদের এখানে আর আসবো না’। এই হচ্ছে বর্তমান সরকারের আসল চরিত্র ও চেহারা।’
এই বিচার-প্রক্রিয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া সারাটা জীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, এখনও কারাগারের অন্ধকারে বসে সেই সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছেন। সেই দেশনেত্রীর মামলার বিচারের জন্য আদালত নিয়ে যাওয়া হয়েছে পরিত্যক্ত কারাগারের অভ্যন্তরে। এটা একটা অবিশ্বাস্য ব্যাপার।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকের জন্যে যে অধিকার আছে, সেই অধিকারেও এই ধরনের বিচার করা সম্ভব নয়। এটা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এতে দেশের প্রচলিত আইনের লঙ্ঘন হয়েছে। স্বৈরাচারী দেশেই এরকম ক্যামেরা ট্রায়াল হয়ে থাকে।’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বিকল্প ধারার সভাপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব, কল্যাণ পার্টির সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল প্রমুখ।