খাদ্য অধিদপ্তর ২৪ ক্যাটাগরি পদের এক হাজার ১৬৬টি শূন্য পদের বিপরীতে দরখাস্ত আহ্বান করেছিল গত ১১ জুলাই, ২০১৮। আবেদন করার শেষ দিন ছিল গত ১৪ আগস্ট, ২০১৮। সেই দিন পর্যন্ত এসব পদের বিপরীতে আবেদন করেছেন ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯২৩ জন। অর্থাৎ প্রতি পদের বিপরীতে গড়ে আবেদন করেছেন প্রায় এক হাজার ১৮২ জন।
খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন এ কে এম ফজলুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এতসংখ্যক প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার সাধ্য আমাদের নেই। তাই এসব প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) সঙ্গে যোগাযোগ করছি। এই তিন প্রতিষ্ঠানের যেকোনো একটিকে পরীক্ষা গ্রহণের দায়িত্ব দেওয়া হবে। লিখিত পরীক্ষা হবে ১০০ নম্বরের। আর মৌখিক পরীক্ষা হবে মাত্র ১০ নম্বরের। খুব শিগগিরই লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে।’
খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২৪ ধরনের পদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পদ অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর বা এএসআই। এর ২৭৪টি শূন্য পদের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ছয় লাখ ৩৩ হাজার ৯৫২টি। এএসআইয়ের প্রতিটি পদের জন্য লড়বেন দুই হাজার ৩১৩ জন। এর পরই রয়েছে সাব-ইন্সপেক্টর বা এসআই পদ। এর ২৫০টি পদের জন্য প্রতিযোগিতা করবেন চার লাখ ১১ হাজার ৮৯৬ জন। অর্থাৎ প্রতিটি পদের জন্য লড়বেন এক হাজার ৬৪৭ জন।
এদিকে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত বছর ডিসেম্বরে ৩৮তম বিসিএসে দুই হাজার ২৪টি পদের জন্য আবেদন করেছিলেন তিন লাখ ৮৯ হাজার ৪৬৮ জন। প্রতিটি পদের জন্য লড়েছিলেন ১৯২ জন। ২০১৬ সালের ৩৭তম বিসিএসে প্রতিটি পদের জন্য লড়েছেন ১৯৯ জন।