চিকিৎসাধীন অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়িবহর কারাগারে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তাকে বহনকারী কালো প্রাইভেটকারটি নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেন। হাসপাতাল থেকে শাহবাগ মোড়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বকশিবাজার হয়ে তাকে কারাগারে নেয়া হয়।
এর আগে ১১টা ২৫ মিনিটে বিএসএমএমইউ হাসপাতাল থেকে তাকে বহনকারী পুলিশের গাড়ি পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের দিকে রওনা হয়। কারা কর্তৃপক্ষেল প্রাইভেটকারে তাকে নেয়া হয়। প্রাইভেটকার ঘিরে পুলিশের পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনী গাড়ি ও মোটরসাইকেল ছিল।
খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে বের করায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় কারাগার, পুরান ঢাকা, আলিয়া মাদরাসা চত্বরসহ আশপাশের এলাকায় কয়েকস্তরের নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। সব ধরনের যান চলাচল শিথিল করা হয়েছে। হাসপাতাল ও কারাগারের চারপাশে পুলিশের ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।
এর আগে সকাল ১০টার দিকেই শাহবাগের বিএসএমএমইউ হাসপাতালের সামনে পুলিশ ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়। হাসপাতালের এলাকায় পুলিশ প্রহরা বাড়ানো হয়। একাধিকজন ভিড় করলে তাদের সরিয়ে দেয়া হয়। খালেদা জিয়ার ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র ও আসবাবপত্র কারাগারের একটি গাড়িতে তোলা হয়। বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের গাড়ি অবস্থান করে।
উল্লেখ্য, বিএনপি প্রধানকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরুর হাইকোর্টের নির্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসনকে গত ৬ অক্টোবর চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গঠন করা হয় ৫ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। খালেদা জিয়া ওই হাসপাতালের ছয়তলার ৬১২ নম্বর কেবিনে অবস্থান চিকিৎসাধীন বলেন।
তাকে সেখানে রেখে এক মাসের অধিক সময় চিকিৎসা দেয়া হলো। তবে বিএনপি অভিযোগ ছিল- দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়নি। তাকে বিএসএমএমইউতে যে ফিজিওথেরাপি দেয়া হয়, সেটিও পর্যাপ্ত নয়। তাকে অনুন্নত চিকিৎসা সরঞ্জামাদি দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে বাধ্য করা হচ্ছে। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। অথচ এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ছিল।