জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের জন্য বিএনপিসহ দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়েছে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে যেসব কেন্দ্রে ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ব্যবহার করা হবে শুধুমাত্র সেসব কেন্দ্রে বা সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
শনিবার (১০ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
তিনি বলেন, ‘ইভিএম ব্যবহার করা হবে- এমন সব কেন্দ্রে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা আছে আমাদের। ওইসব কেন্দ্রে কারিগরি সহায়তা ও নিরাপত্তার জন্যই সেনা নিয়োগ করা হবে।’
ইসি সচিব বলেন, ‘তবে ইসিতে এখনও এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। তারা সম্মতি দিলে আমরা তাদের ব্যবহার করবো।’
মিছিল নিয়ে শোডাউন করে মনোয়নয়ন ফরম সংগ্রহের বিষয়টি ইসির আচরণবিধিতে পড়ে কিনা জানতে চাইলে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘বাংলাদেশে ভোট একটা উৎসব। সেই হিসেবে নির্দিষ্ট এলাকায় এটা হচ্ছে। আমাদের কাছে এটি আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে প্রতীয়মান হয়নি।’
গতকাল রাজশাহীতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘তারা আগে থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়েছিল, যে কারণে সেই বিষয়টি বিবেচনা করে আমরাও অনুমোদন দিয়েছি। তবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আমরা নির্দেশ দিয়েছি, নতুন করে কোনও দলকে সভা-সমাবেশ করার অনুমতি না দিতে।’
এদিকে অপর এক প্রশ্নে শনিবার মোহাম্মদপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে দুই কিশোর নিহতের ঘটনা নির্বাচন কমিশনের জানা নেই বলে উল্লেখ করেন ইসি সচিব।